মায়ের গর্ভে শুক্রানু ও ডিম্বানুর নিষেকের মাধ্যমে জন্ম নেওয়া ভ্রম্নণের বিকাশের মাধ্যমে মানবশিশুর জন্ম হয়। যা একটি নির্দিষ্ট সময় ধরে মায়ের রক্ত থেকে খাদ্যপুষ্টি সংগ্রহ করতে থাকে। অতঃপর সে আর সীমাবদ্ধ ও অন্ধকারাচ্ছন্ন মায়ের গর্ভে অবস্থান করতে পারেনা। সে তার বিকাশকে প্রসারিত করতে মায়ের গর্ভ থেকে বেরিয়ে আসে এই পৃথিবীর বুকে। ঠিক একইভাবে, এই সংকীর্ণ এবং সীমাবদ্ধ পৃথিবীতে একটি নির্দিষ্ট সময় অবস্থান করার পর আমাদের যেতে হবে এর চেয়েও বৃহৎ কোনও জগতের দিকে। আর মৃত্যুই হচ্ছে সেই জগতে গমনের একমাত্র পথ। একজন বিশ্বাসীর জন্য মৃত্যু দুঃখের কারণ হয় না বরং এটি ব্যক্তির দুঃখ এবং সীমাবদ্ধতা থেকে পরিত্রাণ লাভের একটি সুযোগ বলে বিবেচিত হয়।