❒শাজা‘আতুর রিজাল:
“শাজা‘আতুর রিজাল” (মহান পুরুষদের আত্মত্যাগের গল্প) বইটি ইসলামের ইতিহাসের মহান ব্যক্তিত্বদের আত্মত্যাগের চিত্র তুলে ধরে। বইটি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর শেষ দিনগুলোর ধৈর্য, বিশ্বাস এবং আল্লাহর প্রতি নির্ভরশীল দৃঢ় মনোভাব থেকে শুরু করে, হযরত উসমান (রা.) এর শাহাদত, হযরত উমর (রা.) এর শাহাদত এবং হযরত বিলাল (রা.) এর মৃত্যু সহ অন্যান্য সাহাবীদের জীবনের গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তগুলির বর্ণনা প্রদান করে। প্রতিটি অধ্যায়ে সাহাবীদের আত্মত্যাগ, আল্লাহর প্রতি তাদের গভীর আনুগত্য এবং তাঁদের ইমানী শক্তি ফুটে ওঠে। এটি মুসলিম উম্মাহর জন্য এক মূল্যবান শিক্ষা, যেখানে ধৈর্য, ত্যাগ এবং আল্লাহর পথের প্রতি নিষ্ঠা কেমন হতে পারে, তা অত্যন্ত শক্তিশালীভাবে প্রতিফলিত হয়েছে। বইটি মুসলমানদের জন্য একটি অনুপ্রেরণার উৎস, যা তাদের বিশ্বাস এবং আল্লাহর পথে দৃঢ়তাকে মজবুত করবে। ইনশাআল্লাহ।
❒শাজাআতুন নিসা:
ইসলামের ইতিহাসে এমন অনেক নারী রয়েছেন, যাঁরা ছিলেন সমগ্র উম্মাহর জন্য অনুপ্রেরণার বাতিঘর। দুনিয়ার প্রলোভন, ভোগ-বিলাস ত্যাগ করে তাঁরা আল্লাহর পথে নিজেদের উৎসর্গ করেছিলেন। এই মহীয়সী নারীদের ধৈর্য, সাহস এবং ঈমান আজও আমাদের পথপ্রদর্শক হয়ে আছে। তাঁদের জীবনের প্রতিটি অধ্যায় আমাদের শেখায়, কীভাবে একজন নারী আল্লাহর পথে অবিচল থেকে জীবন কাটাতে পারেন এবং মৃত্যুকে আল্লাহর জন্য সেরা উপহার হিসেবে গ্রহণ করতে পারেন।
“শাজা’আতুন নিসা” বইটি আমাদের জানাবে সেইসব নারীদের কাহিনী, যাঁরা মৃত্যুর মুখোমুখি দাঁড়িয়েও আল্লাহর পথে অবিচল ছিলেন। উদাহরণস্বরূপ, আমরা জানবো আসমা বিনতে আবু বকর রাযি.-এর কথা। মক্কার গুহায় নবি মুহাম্মদ ﷺ এবং তাঁর পিতা আবু বকর রাযি.-এর জন্য খাবার নিয়ে যাওয়ার সময় তিনি প্রাণের ঝুঁঁকি নিয়েছিলেন। তাঁর অটল সাহস এবং ঈমান তাঁকে দুনিয়ার ভয়কে তুচ্ছ করে আল্লাহর পথে এগিয়ে যেতে সাহায্য করেছিল। নবীজি ﷺ তাঁকে “যু-নিতাকাইন” (দুটি বেল্টের মালিক) উপাধি দিয়েছিলেন, যা তাঁর সাহসিকতার এক বিশেষ সম্মাননা।
আমরা জানবো, উম্মে আম্মারা রাযি.-এর সেই চিরস্মরণীয় গল্প, যিনি উহুদের যুদ্ধে তলোয়ার হাতে শত্রæর মোকাবিলা করেছিলেন। যখন মুসলিম বাহিনী বিচলিত হয়ে পড়েছিল, তিনি শত্রæর আক্রমণের সামনে দাঁড়িয়ে নবীজি ﷺ-এর প্রতিরক্ষার জন্য নিজের জীবন উৎসর্গ করেছিলেন। তাঁর সাহস ও ত্যাগের কারণে নবীজি ﷺ বলেছিলেন, “যেদিকেই তাকাই, উম্মে আম্মারা রাযি.-কে আমার পাশে যুদ্ধরত অবস্থায় দেখতে পাই।” এই কাহিনী আমাদের জানায়, কীভাবে একজন নারী আল্লাহর পথে তাঁর সর্বস্ব বিলিয়ে দিতে প্রস্তুত ছিলেন।
এই বইয়ে আমরা তুলে ধরবো; কীভাবে হযরত সুমাইয়া রাযি. ইসলাম গ্রহণের পর কঠোর নির্যাতন সহ্য করে প্রথম নারী শহীদ হিসেবে মৃত্যুবরণ করেছিলেন। তাঁর এই মৃত্যু সমগ্র মুসলিম উম্মাহর জন্য এক চিরন্তন শিক্ষার উৎস। আল্লাহর পথে দৃঢ়তা এবং ধৈর্য যে কীভাবে জান্নাতের পথে নিয়ে যায়, সুমাইয়া রাযি.-এর জীবন সেই মহান সত্যের উদাহরণ।
আল্লাহ আমাদেরকে এই মহীয়সী নারীদের জীবন থেকে শিক্ষা গ্রহণ করার তাওফিক দান করুন এবং তাঁদের মতো আমাদের জীবন এবং মৃত্যুকেও আখিরাতের চিরস্থায়ী সফলতার জন্য প্রস্তুত করুন।
“শাজা’আতুন নিসা” -এক অনুপ্রেরণামূলক যাত্রা; যা প্রতিটি নারীর হৃদয়ে সাহস এবং ধৈর্যের প্রদীপ জ্বালাবে, ইনশাআল্লাহ।
আমি বিশেষ কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি মুফতি নাজমুল ইসলাম কাসিমী (হাফিজাহুল্লাহ) ও হাফেজ মাওলানা মুফতি শেখ আব্দুল্লাহ মারুফী (হাফিজাহুল্লাহ)-ভাইদের প্রতি যারা ব্যস্ত সময়সূচির মাঝেও আমার এই পান্ডুলিপি পর্যালোচনা করে অত্যন্ত মূল্যবান পরামর্শ দিয়েছেন। আল্লাহ আমাদের পরিশ্রমকে কবুল করুন। আমীন।
❒দ্য ইমপোভারিশড সাহাবা:
“দ্য ইমপোভারিশড সাহাবা” এটি মূলত সেই মহান সাহাবীদের জীবনগল্প নিয়ে রচিত, যারা তাদের দারিদ্র্যের মাঝেও ঈমানের শক্তিতে বলীয়ান হয়ে ইসলামের জন্য অসামান্য ত্যাগ ও সাহসিকতার নিদর্শন রেখেছেন। ইসলামের ইতিহাসে সাহাবিদের স্থান সর্বোচ্চ, কারণ তারা নিজেদের জান-মাল, সময় এবং আরাম-আয়েশকে বিসর্জন দিয়ে ইসলামের পথে অটল ছিলেন। তাদের দারিদ্র্য কখনোই তাদের ঈমানকে দুর্বল করতে পারেনি; বরং তাদের জীবন ছিল ধৈর্য, ত্যাগ এবং আনুগত্যের অনন্য উদাহরণ।
এই বইয়ে আমি তাঁদের জীবনের এমন কিছু দিক তুলে ধরার চেষ্টা করেছি, যা আমাদের বর্তমান প্রজন্মের জন্য প্রেরণার উৎস হতে পারে। দরিদ্র হলেও তারা ছিলেন আত্মমর্যাদাশীল, সাহসী এবং ইসলামের প্রতি অটল। তাদের ত্যাগের গল্প শুনে আমরা শিখতে পারি কীভাবে জীবনের প্রতিকূলতাকে জয় করা যায় এবং আল্লাহর পথে নিজের সবকিছু কুরবানী করা যায়। আমি আশা করি, এই বইটি আমাদের অন্তরকে ইসলামের প্রতি আরও গভীরভাবে আকৃষ্ট করবে এবং আমাদের জীবনে ত্যাগ ও ধৈর্যের শিক্ষা দেবে।
❒নবিজির (ﷺ) সান্নিধ্যে:
“নবিজির (ﷺ) সান্নিধ্যে” – লেখক: ওমর সুলেইমান, অনুবাদক: ইমরানুজ্জামান**
“নবিজির (ﷺ) সান্নিধ্যে” বইটি ইসলামের মহান নেতা ও রাসূল মুহাম্মদ (স.)-এর জীবন ও আদর্শের একটি গভীর ও হৃদয়গ্রাহী চিত্র তুলে ধরে। লেখক ওমর সুলেইমান তাঁর সাহিত্যিক দক্ষতা ও গবেষণার মাধ্যমে নবীজির জীবনের বিভিন্ন দিককে অত্যন্ত সুস্পষ্ট ও সংক্ষিপ্তভাবে উপস্থাপন করেছেন।
এই বইয়ে নবীজির (ﷺ) সান্নিধ্য পাওয়ার আনন্দ এবং তাঁর সাথে কাটানো মুহূর্তগুলোর বর্ণনা অত্যন্ত অনুপ্রেরণাদায়ক। লেখক নবীজির মহান চরিত্র, নৈতিকতা, এবং তাঁর শিক্ষা সম্পর্কে পাঠকদের জানাতে চেষ্টা করেছেন, যা আমাদের জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে প্রভাব ফেলতে পারে।
অনুবাদক ইমরানুজ্জামান বইটির ভাষাকে সহজ, সোজা এবং পাঠকবান্ধব করেছেন। তাঁর অনুবাদে লেখকের মূল ভাবনা ও উদ্দেশ্য স্পষ্টভাবে ফুটে উঠেছে, যা পাঠকদের জন্য বইটিকে আরো উপভোগ্য করে তোলে।
বইটির প্রতিটি অধ্যায় নবীজির জীবন থেকে শিক্ষা ও অনুপ্রেরণা নিয়ে আসে, যা আমাদেরকে নৈতিকতার পথে পরিচালিত করে এবং মানবিক মূল্যবোধের প্রতি আকৃষ্ট করে। এটি শুধু একটি জীবনী নয়, বরং একটি শিক্ষা, যা আমাদের সমাজে শান্তি, সহমর্মিতা ও সংহতির বার্তা দেয়।
“নবিজির (ﷺ) সান্নিধ্যে” বইটি মুসলমানদের জন্য একটি অপরিহার্য পাঠ্য। এটি আমাদের অবচেতন মনে নবীজির প্রতি ভালোবাসা ও শ্রদ্ধা জাগায় এবং আমাদেরকে তাঁর আদর্শ অনুসরণ করতে উদ্বুদ্ধ করে।
যারা নবীজির জীবনের মহান আদর্শ জানতে চান এবং ইসলামের শিক্ষা সম্পর্কে গভীরভাবে চিন্তা করতে চান, তাদের জন্য এই বইটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এটি একটি মূল্যবান সম্পদ, যা পাঠকদের হৃদয়ে ইসলামের সঠিক বার্তা পৌঁছে দিতে সক্ষম হবে।
অতএব, আপনি যদি নবী মুহাম্মদ (স.)-এর জীবন ও শিক্ষা সম্পর্কে জানতে চান এবং তাঁর সান্নিধ্যে কিভাবে জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে উন্নতি করা যায়, তবে “নবিজির (ﷺ) সান্নিধ্যে” বইটি আপনার সংগ্রহে থাকা উচিত। এটি পড়ার পর আপনি অনুভব করবেন যে, নবীজির জীবনশৈলী আমাদের জন্য একটি আদর্শ এবং আমাদের সমাজে মানবিক মূল্যবোধের প্রতিষ্ঠা করতে সাহায্য করবে।
বইটি কেনার মাধ্যমে আপনি শুধু একটি বই নয়, বরং নবীজির মহান শিক্ষা ও আদর্শের একটি অমূল্য সম্পদ অর্জন করবেন।
Reviews
There are no reviews yet.