মহাবীর, মহান বিজেতা, বিপ্লবী সিপাহসালার, ইসলামি ইতিহাসের মহানায়ক, সুলতান সালাহউদ্দীন আইয়ুবি রহ.-এর হাতে ৫৬৭হি. সনে ফাতেমি সাম্রাজ্যের কবর রচিত হয়। এ সাম্রাজ্যের সময়কাল ছিলো প্রায় তিন শতাব্দী।তাদের প্রথম শাসক ছিল মাহদি। সে সালমিয়ার হাদ্দাদ বংশীয় লোক। তার নাম উবায়দ। সে মূলত একজন ইহুদি ছিলো। পরবর্তীতে মধ্যপ্রাচ্যে এসে উবায়দুল্লাহ নাম ধারণ করে প্রতিক্ষিত ‘মাহদি’ পরিচয়ে আত্মপ্রকাশ করে এবং ফাতেমি বংশীয় হওয়ার দাবি করে। ২৯৮ হিজরিতে উবায়দুল্লাহ মাহদি ক্ষমতার আসন দখল করে রাফেযি ও কুফরি মতবাদ ছড়াতে শুরু করে। তাদের শাসনামলে রাস্ট্রসমূহে অন্যায়-অপরাধ, অশ্লিলতা ও দাঙ্গা-হাঙ্গামা চরম আকার ধারণ করেছিলো। রাষ্ট্রযন্ত্রের ছত্রছায়ায় আহলুস সুন্নাহ ওয়াল জামাআতের অনুসারী অসংখ্য অগণিত মুসলমানকে হত্যা করা হয়েছে।আর তাদের নারী ও শিশুদেরকে অপহরণ করে তাদের সাথে এমন পৈশাচিক আচরণ করা হতো, যা কল্পনা করলেও গা শিহরিয়ে ওঠে। বক্ষ্যমাণ বইটি এই সাম্রাজ্যের ইতিহাস নিয়েই রচিত চমৎকার একটি বই।এছাড়া বইটিতে আরও যা যা পাবেন:(১) বইটিতে বাতেনী সম্প্রদায় নামে পরিচিত ইসলাম বিদ্বেষী গোষ্ঠীর পরিচয় ও তাদের রাজ্যশাসনের সূচনা এবং উত্থান-পতনের কথা বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে।n(২) মুসলিম জাতির বিনাশ সাধনে শিয়া-রাফেযিদের মারাত্মক ষড়যন্ত্র ও অপতৎপরতার কথা উল্লেখ করা হয়েছে।n(৩) উত্তর আফ্রিকা অঞ্চলে বাতিনী সম্প্রদায়ের সাফল্য ও ব্যর্থতার স্বরূপ উদঘাটনের চেষ্টা করা হয়েছে।n(৪) আহলে সুন্নাহর মতাদর্শ প্রচার-প্রসার এবং সমগ্র উত্তর আফ্রিকা থেকে রাফেযীদের মূলোৎপাটনে সেখানকার আলেম সমাজের গৃহীত ভূমিকা ও পদক্ষেপের কথা বিস্তারিত উল্লেখ করা হয়েছে।n(৫) শিয়া রাফেজি বাতেনি গোষ্ঠীকে নির্মূল করে ইসলামী অনুশাসন প্রতিষ্ঠায় সুলতান নুরুদ্দীন মাহমুদ ও সালাউদ্দিন আইয়ুবী (র) অসামান্য সংগ্রাম সাধনার কথা উল্লেখ করা হয়েছে।
Reviews
There are no reviews yet.