সমস্ত প্রশংসা মহান রবের জন্য নিবেদিত। লাখো-কোটি দরুদ ও সালাম বর্ষিত হোক সায়্যিদুল আম্বিয়া ওয়াল মুরসালিন, খাতামুন্নাবিয়্যিন, সর্বকালের শ্রেষ্ঠতম মনীষী, কুল-খায়েনাতের শ্রেষ্ঠ সৃষ্টি মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের উপর এবং তাঁর সকল পরিবার-পরিজনের উপর। ফিদাকা আবি ওয়া উম্মি ইয়া রাসুলাল্লাহ! এমন এক সৃষ্টির প্রেমে পড়েছি, যাঁর প্রতি ভালোবাসা ব্যক্ত করার, প্রশংসা করার সেই কলম আমার নেই! যাঁর শানে লিখতে গেলে হাতে থরথর কাঁপুনি আসে। সে দূর্বলতা রুখে দেয় আমার অনুভূতি প্রকাশের কলম। তবে ভালোবাসার মানুষকে নিয়ে লিখতে বসলে মাথায় হাজারও শব্দমালা ঘুরঘুর করে। কলমের ডগায় তরতরিয়ে আসতে থাকে চমৎকার সকল অক্ষরসমূহ। খুটখুট শব্দের বিচরণে ভরতে থাকে ধবধবে সাদা খাতা কালো রঙের কালিতে। হৃদয়ের সব আবেগ বাক্য হয়ে সন্নিবেশিত হয় কাগজের পাতাতে। আর যদি সেই মানুষটি হয়— মানবকুলের শ্রেষ্ঠমানব সর্বকালের শ্রেষ্ঠতম মনীষী! মহানস্রষ্টার শ্রেষ্ঠতম সৃষ্টি ও নেয়ামত! বিশ্বমানবাধিকার প্রতিষ্ঠার অবিসংবাদিত মহানায়ক! পৃথিবীর শ্রেষ্ঠতম আধ্যাত্মিক সাধক ও শোধক! সায়্যিদুল আম্বিয়া ওয়াল মুরসালীন! খাতামুন্নাবিয়্যিন! রাহমাতুল্লীল আলামীন! যাকে সৃষ্টি না করলে সৃষ্টি হতো না এই পৃথিবী! সেই হযরত মুহম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম। তখন তো আর কথাই নেই! কলমের রঙে ফুরফুর ফুরফুর রাঙিয়ে যাবে ধবধবে শুভ্র সেই খাতা। কলমের ডগায় অবলীলায় বেরোতে থাকবে শানদার রুশনি। সাদা পাতায় ভেসে উঠবে আরবের সেই মহান বাসিন্দার কথা। যাঁর শুভাগমনে সার্থক হলো ধরা। সফল হলো মানব ও দানব। যার সংস্পর্শে ধন্য হলো সৃষ্টিকূল। মূর্খ জাতি পরিণত হলো সৎচরিত্রবান জাতিতে। অতঃপর আমার সে কাঙ্ক্ষিত মাহবুবের আগমনী আনন্দাশ্রু আর বিদায়ী বেদনাশ্রুকে কালি বানিয়ে লিখতে বসেছি তাঁর শান। ঝরাতে চেষ্টা সব আবেগ, মায়া-মমতা ও চাওয়া-পাওয়া! খুব-খুবই ইচ্ছে হলো তাঁকে ঘিরে হৃদয়ের যত আকুতি-অনুভূতি কয়েকদিস্তা কাগজজুড়ে রাঙাবো। তবে এ অধম তো অতি দুর্বল। তাঁর শানমাফিক বিশেষণরূপ দিতে অক্ষম। তবুও প্রচেষ্টায় ছিল অল্পটুকু অনুভূতি হলেও স্বীয় মাহবুব সমীপে জমা থাকুক। তাই এ প্রচেষ্টা। রাব্বে কাবা এ ক্ষুদ্র পুস্তকটি কবুল করুন। তাঁর হাবিবের দিদার নসিবের সুযোগ দিন। আমার সমূহ ভুল-ত্রুটি ক্ষমা করুন। আমিন।
Reviews
There are no reviews yet.