ভুল জ্ঞান মানুষকে ঠেলে দেয় জাহিলিয়াতের দিকে। জ্ঞান অর্জন ন্যুনতম কতটুকু পরিমাণ প্রয়োজন? এর অনেক একাডেমিক উত্তর আছে। একটি অন্যরকম উত্তর হলো : যতটুকু জ্ঞান থাকলে নিজের জ্ঞানহীনতাকে উপলব্ধি ও পরিমাপ করা যায়, ততটুকু জ্ঞান অন্তত সকলেরই থাকা উচিৎ। অযাচিত তর্ক-বিতর্ক, হিংসা-বিদ্বেষ ও সংকীর্ণ দলাদলি জ্ঞানহীনতারই আরেক নাম। হাদিস শাস্ত্রের পরিধি ও গভীরতা যত বেশি, জাতির সাধারণ জ্ঞান এ বিষয়ে ততই কম। তাই পাল্লা দিয়ে বেড়েছে তর্ক আর তিক্ততা। জীবনকে আল্লাহর পছন্দনীয় শৈলীতে সাজাতে চাইলে কুরআনের পাশাপাশি হাদিস সম্পর্কে জ্ঞান অর্জনের কোনো বিকল্প নেই। তবে সেই জ্ঞান হতে হবে বিশুদ্ধ—প্রান্তিকতা মুক্ত। শুদ্ধ জ্ঞান যেমন মানুষকে সঠিক পথ দেখায়, তেমনি ভুল জ্ঞান কেবল বিপথগামিতাকেই ত্বরান্বিত করে। আমরা যারা প্রাতিষ্ঠানিকভাবে ইসলামের জ্ঞান লাভ করতে পারিনি, তারা যখন বাজার থেকে হাদিসের অনুবাদ কিনে পাঠ শুরু করি, তখন বেশ গোলমেলে এক অবস্থার সৃষ্টি হয়। হাদিস পাঠ করে নিজেদের আমল-আখলাক সংশোধনের চেয়ে অন্যদের প্রতি আঙুল তুলতে অধিক ব্যস্ত হয়ে পড়ি। জ্ঞানার্জনের মূল উদ্দেশ্যই তখন মাঠে মারা যায়। হাদিসের অনুবাদ পড়ে তার মর্মার্থ বুঝতে হলে প্রথমে আমাদেরকে হাদিস বোঝার মূলনীতিগুলো সম্পর্কে কিছুটা হলেও জ্ঞান রাখতে হবে। অন্যথায় সে মূলনীতিহীন জ্ঞান আমাদেরকে ভুল পথে ঠেলে দিতে পারে। এ বিষয়ে ন্যূনতম যতটুকু জানা থাকলে আমাদের না জানার পরিধিকে অন্তত পরিমাপ করতে পারব, ততটুকু নিয়েই সিয়ান পাবলিকেশনের বই : হাদিস বোঝার মূলনীতি। এ বইটি আমাদেরকে সেই জ্ঞান অর্জনে চমৎকারভাবে সাহায্য করবে ইনশা আল্লাহ।
Reviews
There are no reviews yet.